আব্দুল্লাহ আল মারুফ নিজস্ব প্রতিবেদক >>> চট্টগ্রামের সাতকানিয়ায় তুচ্ছ ঘটনাকে কেন্দ্র করে রাস্তা নিয়ে বিরোধের জেরে মো. মোক্তার হোসেন (৬০) নামে এক বিদ্যাকে কুপিয়ে হত্যা করা হয়েছে। এ ঘটনায় দু মহিলাকে আটক করেছে সাতকানিয়া থানা পুলিশ। (১৫ জুলাই)সোমবার দুপুর ১টার সময় উপজেলার পুরানগড় ইউনিয়নের ৭ নম্বর ওয়ার্ড জান আলী সিকদার বাড়ি এলাকায় এ ঘটনা ঘটেছে। পরে রাত ১টার দিকে চট্টগ্রাম মেডিকেল কলেজ (চমেক) হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় মোক্তার মৃত্যুবরণ করে।বিশ্বস্ত পার্শ্ববর্তী এলাকাবাসী সূত্রে জানা যায় ,মোক্তার হোসেনের পরিবারের সঙ্গে পার্শ্ববর্তী ভুট্টোর পরিবারের রাস্তা নিয়ে দীর্ঘদিন ধরে বিরোধ ছিল।নিহত মোক্তারের ভাতিজারা ওই চলাচলের রাস্তাটি পরিষ্কার করছিলেন।এ সময় মোরশেদুল আলম, তৌহিদুল ইসলাম ও সিরাজুল ইসলামসহ তাদের পরিবারের সদস্যরা দেশীয় অস্ত্রশস্ত্র নিয়ে তাদের ওপর হামলা চালায় এ সময় ভাতিজাকে রক্ষা করতে মোক্তার এগিয়ে এলে হামলা কারীদের মা তাদের কোরবানি গরু জবাই করার দা এনে দিলে,হামলাকারী মুক্তার কে পিছন থেকে দায়ের কোপ দিয়ে যখন করে,তারপর মুক্তার মাটিকে হেলে পড়লে তার মৃত্যু নিশ্চিত করার জন্য মাথা ও শরীরে দা দিয়ে কুপিয়ে আঘাত করতে থাকে।পরে পরিবারের সদস্য ও স্থানীয়রা জানতে পারলে দ্রুত সবাই ঘটনাস্থলে গিয়ে তাকে উদ্ধার করে প্রথমে স্থানীয় একটি বেসরকারি হাসপাতালে নিয়ে যান। অবস্থা আশঙ্কাজনক হওয়ায় কর্তব্যরত চিকিৎসক তাকে চমেক হাসপাতালে রেফার করে।পরে সেখানেই অতিরিক্ত রক্তক্ষরণে তার মৃত্যু হয়।পুরানগড় ইউনিয়নের চেয়ারম্যান বলেন,এ বিষয় নিয়ে তিন বছর আগে আমি সার্বিয়ার দ্বারা পরিমাপ করে তাদের সীমানার নির্ধারণ করে দিয়েছিলাম কিন্তু প্রতিপক্ষ আসামীরা বারবার এটি নিয়ে ঝামেলা করে এবং কোন সিদ্ধান্ত মানতে চাই না।তারে সন্ত্রাসী টাইপের লোক,তাদের বিরুদ্ধে অনেক অভিযোগ আছে।সবাই যখন দুপুরে নামাজ পড়তে যাই,তখনই ওখানে আশেপাশে মহিলা ছাড়া কেউ ছিলনা,মুক্তারের ভাই কাজীর সাথে যখন তর্ক বিতর্কে জড়ান হামলাকারীরা,তখন মোক্তার দুইপক্ষকে চুপ থাকার ও তর্কে না করতে আহ্বান করলে তাঁকে হত্যা করা হয়।ভবিষ্যতে এ ধরনের ঘটনা যাতে আর উদঘাটন ও উৎপত্তি না হয়।প্রশাসনকে তদন্ত সাপেক্ষে কঠোরভাবে হস্তক্ষেপ করার আহ্বান করেন।সাতকানিয়া থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) প্রিটন সরকার বিষয়টি নিশ্চিত করে বলেন।এ বিষয়ে থানায় মামলা হয়েছে।ঘটনাস্থল থেকে হামলাকারীর পরিবার থেকে,দুই মহিলাকে গ্রেফতার করা হয়।বর্তমান ঘটনার স্থলে প্রশাসনের নজরদারি রয়েছে,মূল আসামিরা পলাতক রয়েছে দ্রুত তাদেরকে গ্রেফতার করা হবে,গ্রেফতারকৃত ২ মহিলা আসামিদের আইনের প্রক্রিয়া শেষ করে আদালতে প্রেরণ করা হয়েছে।
Leave a Reply